কটুক্তির জের ধরে নবদম্পতির বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করেছিলো দু‘জনে। তাদের বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে চাচার শ্বাশুড়ির করা কটুক্তি সইতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নবদম্পতি মো: সাজেদুল ইসলাম (২১) ও রিয়া খাতুন ( ১৯)।
গুরুতর অবস্থায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গত ৩০ জুন (রবিবার) রিয়া মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার (০১ জুলাই) রাতে স্বজনরা রিয়ার দাফনের কাজ সম্পন্ন করে গোরস্তান ত্যাগ করার আগেই রামেক হাসপাতাল থেকে সাজেদুলের মৃত্যুর সংবাদ আসে।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে সাজেদুলের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা মো: আজতব প্রামানিক। সাজেদুল পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়ি এলাকার আজতব প্রামানিকের ছেলে এবং রিয়া একই উপজেলার সাহাপুর আজিজল তলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে।
এর আগে, রবিবার (৩০জুন) পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি ফটিকমোড়ের এলাকার মো: সাজেদুল ও তার স্ত্রী রিয়া বিষপান করেন।
প্রতিবেশি ও পুলিশ সুত্র জানা গেছে, প্রেম করে পালিয়ে ১ মাস আগে বিয়ে করেছে সাজেদুল ইসলাম ও রিয়া খাতুন দম্পত্তি। রিয়ার পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নিলেও স্বামী সাজেদুলের বাড়িতে শ্বশুর-শ্বাশুরি, ননদসহ আত্মীয়দের নিয়ে বেশ সুখেই ছিলো রিয়া। কিন্ত রিয়ার চাচার শ্বাশুড়ি ভানু বেগম তাদের বাড়িতে এসে রিয়াকে নানা রকম কটুক্তিসহ থুথু ফেলে তাদের দুজনের ভালবাসার বিয়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন।
এমন কটুক্তির জের ধরে অপমানিত হয়ে স্বামী ও স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের চোখের আড়ালে নিজ ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়ার মৃত্যু হয়। আর স্ত্রীর মৃত্যুর ১ দিন পর স্বামী সাজেদুলেরও মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম জানান, নবদম্পত্তির বিষপান করে আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্ত্রী রিয়ার দাফনের পরই স্বামী সাজেদুল মারা গেছেন। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।