যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের দুর্গাবর্দী এলাকায়। প্রেম করে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। এরপর কোলজুড়ে আসে একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তান। কিন্তু স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওই গৃহবধূর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়।
শেষ মেষ যৌতুকের দাবিতে সুমা আক্তারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বিচার দাবি করেছেন গৃহবধূর স্বজনরা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের দুর্গাবর্দী এলাকার মো: আজিত কাজীর ছেলে মো: কামরুল কাজীর (২৬) সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে হয় বাজিতপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া বাজিতপুর গ্রামের মো: ছলেমান শেখের মেয়ে সুমা আক্তারের (২০)। বিয়ের বেশ কিছুদিন পর কাজের সুবাধে কামরুল দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যায়। এরপর থেকে শুরু হয় সুমার ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠে সুমা। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বিকালে যৌতুকের দাবিতে সুমাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে কামরুলের পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্তরা।
পরে স্থানীয়দের থেকে সংবাদ পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর বুধবার (০৩ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে পুলিশ। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
সুমার মা হাসিনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে দু’চোখে দেখতে পারতেন না কামরুলের পরিবার। নানা ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করতো সুমাকে। মঙ্গলবার তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান ফকির জানান, হাফছা নামে ৫ মাসের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে নিহত সুমার। পরিবারের অভিযোগ সুমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন।
এখনো কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।