বগুড়ার শেরপুরে জনতার তোপের মুখে বন্ধ হলো করতোয়া নদীর বালু উত্তোলন। শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বেলা ১ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বালু উত্তোলনের নৌকা, ড্রেজার ও অন্যান্য সরঞ্জাম আটক করে রাখা হয়। পরে ক্ষমা চেয়ে স্থান ত্যাগ করে বালু উত্তোলনকারীরা।
সরজেমিনে দেখা যায়, শেরপুর থানার পুর্বপার্শ্বে করতোয়া নদীর তীরে সাড়ে ছয় বিঘা জমি ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হয়েছে। প্রায় ৬ মাস আগে পৌর শহরের জগন্নাথ পাড়ার বাসিন্দা আমান উল্লাহ জমিটি বগুড়া শহরের সাইফুল ইসলামের কাছে বায়নামূলে হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার দুপুরে জমিটি বালু দিয়ে ভরাট করার জন্য রফিকুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য নৌকায় করে সঞ্জাম ও শ্রমিক নিয়ে আসেন।
এসময় স্থানীয় কিছু তরুন তাদের কাছে সরকারি অনুমতি পত্র দেখতে চান। কিন্তু তারা তরুনদের বিভিন্ন হুমকী প্রদর্শন করেন। তরুনদের ডাকে সেখানে আরও লোকজন উপস্থিত হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
উত্তেজিত জনগণ নৌকা ও ড্রেজার মেশিনে অগ্নিসংযোগে উদ্ধত হয়। পরে রফিকুল ইসলাম তাদের কাছে ক্ষমা চাইলে তাকে মালামালসহ যেতে দেওয়া হয়।
এলকার কাজল ঘোষ বলেন, দেশে প্রশাসন নিস্ক্রিয় থাকার সুযোগ নিয়ে তারা জোর করে বালু উত্তোল করতে চেয়েছিল। এর ফলে নদী ভাঙ্গনে জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হতো। জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদেরকে প্রতিহত করা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুরে জনতার তোপের মুখে বালু উত্তোলন বন্ধ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে জমির মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, জমিটি উচু করার জন্য আমি নদী থেকে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলাম। যেহেতু জনগণ বাধা দিয়েছে, সেখান থেকে আর কখনো বালু তোলা হবে না।