ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়িঢলের প্রবল স্রোতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরসহ অন্তত ৩০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানির প্রবল স্রোতে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের একটি অস্থায়ী সেতুও ভেঙে গেছে। এতে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এসব গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আশেপাশের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট০ রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়। আজ সকাল থেকে নদী বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে।
একপর্যায়ে আখাউড়া স্থলবন্দর, বীরচন্দ্রপুর, অমরপুর,বাউতলা, কালিকাপুর, রহিমপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগর, মোগরা মনিয়ন্দ ও কর্নেল বাজারসহ অন্তত ৩০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী একটি সেতু। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষগুলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বীরচন্দ্রপুর গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘরে বানের পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াহুড়ো করে সরতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে তিনি পানিতে ডুবে যান। আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমরান বলেন, আজ সকাল থেকে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তারা এলাকাভিত্তিক বিভক্ত দল হয়ে বন্যায় পানিবন্দি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ৩৪টি গ্রামের অন্তত ৫২০টি পরিবার বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ত্রাণ চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ত্রাণ পাওয়ার পর পরই পানি বন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।