বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নাম ঘোষণা করা হয়। তবে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে বাধা দেন পদবঞ্চিতরা, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন আবু বাকের মজুমদার, আর সদস্যসচিব জাহিদ আহসান। এছাড়া তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক), রিফাত রশীদ (সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব), তাহমীদ আল মুদাসসির (মুখ্য সংগঠক) ও আশরেফা খাতুন (মুখপাত্র) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটিও ঘোষণা করা হয়। ঢাবি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, সদস্যসচিব মহির আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন মাহমুদ হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আল আমিন সরকার, মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম এবং মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি দায়িত্ব পেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, নতুন ছাত্রসংগঠনটি কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না। তাদের মূলনীতি হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’। ছাত্র-নাগরিক স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
তবে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ মসৃণ হয়নি। পদবঞ্চিতরা সেখানে বাধা দেন, যা পরে হাতাহাতিতে গড়ায়। বিকেল চারটার দিকে উত্তরা থেকে আসা কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন—‘প্রাইভেট-প্রাইভেট, বৈষম্য মানি না’, ‘ঢাবির কালো হাত, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘ঢাবির সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, সিন্ডিকেটের কমিটি মানি না মানবো না’।
অন্যদিকে, নতুন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও পাল্টা স্লোগান দেন— ‘শিক্ষা ঐক্য মুক্তি’।
নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও পদবঞ্চিতদের আন্দোলন সামনে আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, কোনো বিশৃঙ্খলা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নতুন সংগঠনের নেতারা বলছেন, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংগঠন চালাবেন এবং ছাত্রদের অধিকার আদায়ে কাজ করবেন।