নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী বাজারে ৫ লিটার সয়াবিন তেলের সরকারের নির্ধারিত দাম ৮৫২ টাকায় বিক্রি না করে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় মূল্য তালিকা না থাকা ও প্রদর্শন না করায় আরও ৪ ব্যবসায়ীকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ইসলামগঞ্জ বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি নিশ্তি করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নোয়াখালী জেলা কার্যালয় শাখার সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: আছাদুল ইসলাম।
জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর নোয়াখালী জেলা কার্যালয় এই তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
অভিযানে পণ্যে গায়ের মূল্যের থেকেও অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করায় মেসার্স হাজী এন্তাজুল হক অ্যান্ড সন্স নামের এক প্রতিষ্ঠানকে নগদ ১০ হাজার টাকা, ক্রেতাকে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে সরবরাহ না করায় মেসার্স মালেক স্টোরকে ৩ হাজার টাকা, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূ্ল্যের থেকে অতিরিক্ত দামে মুরগি বিক্রয় করায় মেসার্স আধুনিক পোল্ট্রি ফার্মকে ৫ হাজার টাকা, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করায় মেসার্স খোকন নামের একটি মুরগির দোকানকে ৩ হাজার টাকা এবং মেসার্স জলিল নামের আরও একটি মুরগির দোকানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মোট ৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোটি ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে জেলা বিশেষ টাস্কফোর্স টিমের সদস্যরাসহ জেলা ব্যাটালিয়ন আনসারের সদস্যারা উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন ।
ভোক্তা অধিদপ্তরে নোয়াখালী জেলারর সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম বলেন, বাজার তদারকি অভিযানে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে সয়াবিন তেল, ছোলা, চিনি, শসা, লেবু ও মুরগির বাজারের ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়। পাইকারী ও খুচরা দামের পার্থক্য আছে কিনা যাচাই করা হয়। রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।