বগুড়ার শেরপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও ব্লাকমেইলের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী ও ভিডিও ধারণকারী মো. সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৮ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মোছা. আরজিনা খাতুন তার মেয়ে মোছা. ইশিতা খাতুন স্থানীয় ধনকুন্ডি শাহানাজ সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে মামলার প্রধান আসামি মো. তাজুল ইসলাম (৪৬) ইশিতাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আরেক আসামি মো. সুজন (২০) ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে।
পরবর্তীতে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে সুজন ইশিতার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করে। এ ছাড়া সুজন ও তার সহযোগীরা ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ভিকটিমের মা আরজিনা খাতুনের কাছ থেকে টাকা দাবি করে।
এ ঘটনায় শনিবার (৮ মার্চ) শেরপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে সুজনের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শেরপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।