কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, সন্তানদের নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮) বাড়িতে এসে দরজা খোলার জন্য ডাক দেন। তিনি দরজা না খোলায় ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তবে তারা প্রকৃত ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই নারীকেই দোষারোপ করে মারধর শুরু করে। এ সময় কেউ কেউ সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে। পরে স্থানীয়দের কেউ কেউ বুঝতে পারেন, ওই নারী আসলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তখন অভিযুক্ত ফজর আলীকে ধরে মারধর করা হয় এবং হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।
পরদিন শুক্রবার রাতে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা পুলিশের নজরে আসে। বিষয়টি জানার পর পুলিশ তদন্তে নামে এবং ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজন গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
স্থানীয়রা জানান, তারা প্রথমে ঘটনাটি সঠিকভাবে না বুঝে ভুল করেছেন। পরে তারা অনুতপ্ত হন এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মারধরকারীদের শনাক্তের চেষ্টাও চলছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, “প্রথমে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেননি। তবে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা বিষয়টি জানতে পারি। পরে তাকে সহায়তা করি। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”