চট্টগ্রামে বিএনপির সক্রিয় কর্মী ও ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম (৪৫) খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
নিহত আবদুল হাকিম রাউজান উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামিম এগ্রোর মালিক আবদুল হাকিম খুনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিরোধসহ সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কোনো সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কারে চট্টগ্রাম নগরের উদ্দেশে রওনা দেন হাকিম। চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কে রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার সংযোগস্থল মদুনাঘাট সেতু পার হওয়ার পর তিনটি মোটরসাইকেলে থাকা হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি গাড়ির সামনে এসে কয়েক দফা গুলি ছোড়ে।
গুলিতে গাড়ির সামনের কাচ ভেদ করে হাকিম গুলিবিদ্ধ হন এবং গাড়ির ভেতরেই লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।