গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে সংবিধানে যেকোনো পদক্ষেপ নিলেও তা মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজন অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে নবম দিনের শুনানিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পেছনে যে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভ্রান্তপ্রসূত ছিল। ‘গুড’–এর বিপরীতে ‘ব্যাড’ শব্দের চেয়ে যদি কোনো শব্দ থেকে থাকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করায় তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে কোহিনূর হীরার মতো মূল্যবান। এই মূল্যবান গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সংবিধানে যা প্রয়োজন, তা সেভাবেই সংশোধন করতে হবে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর একতরফা নির্বাচন হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রশাসন ও আইনের শাসনও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১১ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি–জামায়াতসহ পাঁচ পক্ষের নয়জন ব্যক্তি রিভিউ আবেদন করেন। গতকাল তাদের আইনজীবীদের শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শুরু হয়।
পরে ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক মৌখিক ও লিখিত রায়ের মধ্যে জালিয়াতি করেছেন, যা ফৌজদারি অপরাধের শামিল। তার সাত বছর সাজা হওয়া উচিত।


