যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হলেন ’বিসিবি সভাপতি’ নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঘোষিত হয়েছিল নতুন সরকারের মন্ত্রীদের নাম। বিসিবি সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি নাজমুল হাসান পাপনের নাম পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পরপরই ক্রীড়াঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি পাপন ।
যুব-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সাধারণত প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এমপি পাপন পূর্ণ মন্ত্রী এ নিয়ে খানিকটা সংশয় ছিল। তবে সকল জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। যা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের এই মতো ঘটনা ঘটল। এতে বিস্মিত ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই।
ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকাদের মধ্যে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রথম দায়িত্ব পেয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ঢাকা মহানগরী ফুটবল কমিটির কর্মকর্তা ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকার পর ক্রীড়াঙ্গন থেকে ২য় মন্ত্রী ছিলেন মো: আরিফ খান জয়। বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হন। এরপর বিরেণ শিকদার, আহাদ আলী সরকার, ও জাহিদ আহসান রাসেল প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়াই।
নাজমুল হাসান পাপন আবাহনী ক্লাবের পরিচালক,বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে আছেন এক দশকের বেশি সময়। রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে তিনি গত এক দশকে ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম নীতি-নির্ধারক ছিলেন তিনি।