বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুকুরে মাটি খননের সময় পৃথক দুইটি কষ্টিপাথর সদৃশ বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ভাটগ্রাম মধ্যপাড়া এলাকায় ১টি বড় আকারের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ নিয়ে এই উপজেলায় দুটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কষ্টিপাথরের মতো দেখতে ওই পাথরটির সঠিক ওজনের বিষয়ে এখনও কিছুই জানায়নি পুলিশ।
এরআগে গত (২৯ জানুয়ারি) উপজেলার ভাটগ্রামের পাশের গ্রাম বিশা গ্রামের দুধার-পাড় পুকুর এলাকা থেকে ২০ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ১টি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়। প্রাচীন আমলে তৈরিকৃত ওই মূর্তির সামনের দুই পাশে হালকা একটু ভাঙা দেখা গেছে। পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ভাটগ্রাম মধ্যপাড়া এলাকায় মো: আবু সোহেল বকুল নামের ব্যক্তি তার পুকুরের মাটিখনন কাজ করছিলেন। এসময় পুকুরের নিচ থেকে বড় আকারের ১টি বিষ্ণুমূর্তি মাটির সাথে উঠে আসে। কষ্টিপাথর ভেবে পুকুর মালিকের পরিবারের সদস্যরা মূর্তিটি সরানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: মেহেদী হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরিত্যক্ত অবস্থায় মূর্তি পাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এরআগে গত (২৯ জানুয়ারি) বিশা গ্রামের দুধার-পাড় পুকুর এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি খননকাজ করার সময় মাটির সাথে পুরাতন ১টি কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি উঠে আসে। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে দুইটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধারের বিষয়ে, নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম জানান, দুটি মূর্তি কী কষ্টিপাথরের নাকি অন্যকিছু তা এখনও পরীক্ষা ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুটি বস্তু প্রতœতত্ত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।