বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় সুমাইয়া আক্তার (৩১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ শালুকগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামের জাকারিয়া ইসলামের মেয়ে। তিনি মাঝিড়া ইউনিয়নের ডোমনপুকুর টিকাদারপাড়া এলাকার মৃত নজমল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাপ্পির স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার মাস আগে সুমাইয়া ওই গ্রামে ওয়াহেদ আলীর বাড়িতে ভাড়া ওঠেন। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় এক ব্যক্তি নিজেকে তার স্বামী পরিচয় দেন, নাম রাজু। সঙ্গে ছিলেন এক যুবক, রাকিব, যিনি ভাতিজা পরিচয়ে থাকতেন। পরবর্তীতে রাজু ও রাকিব নিয়মিত সুমাইয়ার বাসায় যাতায়াত করতেন।
বাড়ির মালিক ওয়াহেদ আলী বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি সুমাইয়াকে রাজুর সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। এরপর মঙ্গলবার সারাদিন কোনো সাড়া না পেয়ে এবং ঘরের দরজা-জানালা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। বুধবার সকালে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে জানান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় জানালা খুলে ঘরের ভেতরে সুমাইয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা।
এরপর দুপুরে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছোট ভাই কাওসার আহমেদ বলেন, রাজু ও তার সহযোগীরা সুমাইয়াকে দিয়ে মাদক বিক্রি করাতেন। তিনি এ কাজ থেকে বোনকে বিরত থাকতে বলায় কয়েক মাস আগে সুমাইয়া মারধরের শিকার হন।
শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ করিম বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”