ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেছেন, যে নির্বাচন তিনি আশা করেছিলেন, তা হয়নি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে করা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন
আবিদুল বলেন, “গত সোমবার যেভাবে সাইবার হামলা হয়েছে, তেমনি আজ সকাল থেকেই নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপপ্রচার চালানো হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রগুলোতে প্রার্থীদের অবস্থান নীতিমালার থাকা সত্ত্বেও রিটার্নিং কর্মকর্তারা এমন অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ আছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা কর্মকর্তাদের কাছে “আগে থেকে পূরণ করা ব্যালট” থাকার মতো অভিযোগ জানিয়েছে। দু’টি কেন্দ্রে এমন অভিযোগ এসেছে এবং তিনি আশঙ্কা করেছেন, সুতরাং আরও কেন্দ্রেই এ ধরনের অনিয়ম থাকতে পারে।
বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির ঘটনা উল্লেখ করে আবিদুল জানান, জামায়াতে ইসলামীর বহিরাগত নেতা কর্মীদের উপস্থিতির অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১২টি লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এসব ঘটনার বিরুদ্ধে ধৈর্য ধরে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা রাখছেন, তবে সতর্কতাও দিয়েছেন, “যদি ভোট ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করবে।”
আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আট কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ চলে। অনেক কেন্দ্রেই সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটদান হয়েছে; তবু একাধিক প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন, ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
এই অভিযোগগুলো নির্বাচনপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও শিক্ষার্থীদের আস্থার ওপর প্রশ্ন তুলেছে। যদি অভিযোগগুলো যাচাইযোগ্য প্রমাণসহ প্রমাণিত হয়, তাহলে ফলাফল ঘোষণা কিংবা পরে প্রকাশিত প্রতিবেদন-প্রক্রিয়ায় উত্তেজনা ও চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার এবং প্রার্থীদের ব্যাপকভাবে জবাবদিহি করতে হতে পারে। ওইসব পদক্ষেপ না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া বা আইনি ব্যবস্থা আনা হতে পারে বলে রাজনৈতিক ও শিক্ষার্থীবর্গে আলোচনা আছে।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া সামনে এলে ঘটনাগুলো কীভাবে সমাধান হয় এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের ভোটাভুটির পরিবেশ কেমন থাকবে, এসবই পরবর্তী দিকনির্দেশ নির্ধারণ করবে।