বগুড়ার শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভবানীপুর আঞ্চলিক সড়কের তিরাইল বিশ্বা গ্রামে ৩ টি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার জনৈক কালিপদ মাষ্টারের বিরুদ্ধে। ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সেই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের তিরইল বিশ্বা আঞ্চলিক সড়কটি পাকা করনের জন্য কাজ চলছে। তিরাইল বিশ্বা গ্রামে প্রায় ১৫-২০ বছর আগে লাগানো ২টি আম গাছ ও একটি পাইকর গাছ (বটগাছ) রাস্তার মধ্যে পড়ায় কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদার। সেই গাছগুলো ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে বিশ্বা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কালিপদ ওই তিনটি গাছ স্থায়ীয় ব্যবসায়ী রঞ্জিতের কাছে বিক্রি করে।
এ বিষয়ে কালিপদ মাষ্টার বলেন, রাস্তার উপর গাছ হওয়াতে সরকারি গাছ বলে চেয়ারম্যান কাঁটতে নিষেধ করে। এরপর প্রায় ১৫ দিন হয়ে যায় কাজ বন্ধ থাকে। পরে চেয়ারম্যানকে নিয়ে বসা হয়। এরপর তার নির্দেশেই গাছগুলো বিক্রি করেছি। গাছ ব্যবসায়ী গাছগুলো কাটা শুরু করেছে।
এ বিষয়ে বগুড়ার শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই গাছগুলো সড়কের মাঝে পড়ায় কালিপদ মাস্টারকে কাটার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই গাছগুলো সরকারের নয়।
শেরপুর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, এই গাছ গুলো ভূমি কর্মকর্তা বা ইউএনও দেখবে। কারণ এটা বন বিভাগের নয়। শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, রাস্তার ধারের সরকারি গাছ কাটার জন্য কেউ অনুমতি নেয়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।