লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন সভাপতি মো: ফেরদৌস আহমেদের (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া এলাকার রাস্তার পাশে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো: ফেরদৌসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
নিহত মো: ফেরদৌস আহমেদ সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি আনন্দবাজার গ্রামের মো: নুরল হকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
জানা গেছে, রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউরিয়নে বিএনপির এক সভায় যোগদানের কথা বলে বাসা থেকে বের হন ফেরদৌস আহমেদ। পরে রাত গভীর হলেও বাড়ি না ফেরায় ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পায় তার পরিবার। অবশেষে লালমনিরহাটে খুঁজতে এসে শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পায় তার পরিবার। কিন্তু তার কোন সন্ধান মিলেনি।
স্থানীয়দের ধারণা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফেরদৌস আহমেদ চোরাচালালেন সঙ্গে জড়িত থাকায় মাদক কারবারির লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়াও ঘাতকরা তাকে শহর থেকে নিয়ে এসে নিজপাড়ার এলাকার নির্জন জায়গায় শ্বাসরোধে হত্যা করে সড়কের পাশে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওমর ফারুক জানান, নিহতের পরিবারের দেওয়া তথ্য মতে ফেরদৌস বেশ কিছু টাকা নিয়ে বিএনপির একটি সভায় যোগদানের কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এলেও আর বাড়ি ফিরেনি ফেরদৌস। থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি তার পরিবার। আমরা পুরো ঘটনা তদন্ত করছি।