নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতে চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মে) দিবাগত রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একাধিকস্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি দেশীয় এলজি, ২টি টিপ ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ১টি হাতুড়ি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মো: সুমন (৩৮), একই মাইজচরা গ্রামের সৈয়দ আলম (২৯), লক্ষীপুরের চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের মো: বেলাল হোসেন (৪০) এবং চট্রগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা গ্রামের মো: সাইফুল ইসলাম (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত (১৬ মে) রাতে উপজেলার লাকুড়িয়াকান্দি গ্রামের মো: রুহুল আমিন মিয়ার ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১১ জন ডাকাত ঘরের লোকজনদের মারধরসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, তাদের হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকার মালামাল লুণ্ঠণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ অভিযানে নামে।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার ফেনী-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে সরুগো পুল নামক স্থানে পুলিশ একটি চেকপোস্ট বসায়। এ সময় চৌমুহনীর দিক থেকে ২টি সিএনজি দ্রুত গতিতে আসতে দেখলে পুলিশ সিএনজি দুটিকে থামার জন্য সংকেত দেয়। পরে থামানোর সংকেত দেয়ার পরেও সিএনজটি আবারও ঘুড়ে ঘটনাস্থল থেকে চৌমুহনীর দিকে চলে যায়।
এরপর পিছনের একটি সিএনজি ও সংকেত না মেনে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সিএনজির পিছনে ধাওয়া করে। এ সময় সিএনজিতে থাকা ৪ জন ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে সিএনজিতে ড্রাইভার হিসেবে থাকা সুমনকে সিএনজিসহ আটক করে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাববাদে সুমনের দেয়া তথ্যমতে চৌমুহনী রেল স্টেশন ও চৌমুহনী ফলপট্টি এলাকা থেকে অপর আসামিদের আটক করা হয়।
নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে আটকের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আটককৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।