বগুড়ার শেরপুরে প্রায় ৬ বছর আগে বিএনপি’র নির্বাচনী বহরে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে কুসুম্বি ইউনিয়ন বিএনপি’র সা: সম্পাদক গোলাম মোস্তফা গোলাপ বাদী হয়ে শেরপুর থানায় এই মামলা করেন। এই মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বগুড়া- ০৫ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের ছেলে আসিফ ইকবাল সানিকে (৪৮)। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক (৫০), শেরপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শুভ ইমরান (৩০), নাজমুল আলম খোকন (৪৫), বগুড়া ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারি (এপিএস) কোরবান আলী মিলন (৪২), কারিমুল ইসলাম (৩৮), সাখাওয়াত হোসেন সবুজ (৩৫), আবু হান্নান সবুজ (৪০), রাব্বী (৩০), নাইম (২৮), সাজু (৩০) সহ ৭৪ জন।এদিকে মামলা দায়ের করার পর মামলার ৫৫ নম্বর আসামী উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা খিকিন্দা গ্রামের জামিল উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোররাতে থানা পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া- ০৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের বিএনপির দলীয় প্রার্থী ছিলেন গোলাম মো. সিরাজ। দলীয় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় উপজেলার গোসাইবাড়ি বটতলা এলাকায় মোটরসাইকেল ও মাইক্রো বাস ও জীপ গাড়ি বহর নিয়ে যাওয়ার সময় এই নির্বাচনী প্রচারণার উপরে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা অনেকে আহত হন।এছাড়াও হামলাকারীরা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। ওই সময়ে এই নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নেওয়া স্থানীয় বিএনপি’র অনেকে আহত হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আটককৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।