কুমিল্লায় চিপস কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) লালমাই উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউপির পোহনকুচা গ্রামের একটি নির্মীয়মাণ ভবনের লেবার রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত মো: জাহঙ্গীর (৫৫) উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাতেই ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখ করে লালমাই থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের পরপরই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি বৃদ্ধ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।। শুক্রবার (০৭ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী তরুণীর খালা বলেন, আমার বোনের মেয়ে শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিনে সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পরে বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যাক্তি তাকে স্থাণীয় দুলালের দোকানে নিয়ে গিয়ে চিপস কিনে দেন। পরে তাকে একটি নির্মাণাধীন ভবনের লেবার রুমে নিয়ে যান। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে দেখি জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া দু’জনে মিলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছেন। ওই সময় অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে আমি বাহার মিয়াকে চড়-থাপ্পড় দিই। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম বলেন, একজন বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা রু করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছৈ। ভুক্তভোগীকে তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।