বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ঢালিউডের তারকা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া অবশেষে জামিন পেয়েছেন। তবে তিনি এখনো কারাগার থেকে মুক্তি পাননি।
মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান জামিনের আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। জামিন মঞ্জুর হলেও প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, রোববার দুপুরে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তাকে ভাটারা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেদিনই তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানির সময় ফারিয়াকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তিনি ছিলেন নির্বাক এবং কয়েকবার চোখ মুছতে দেখা যায় তাকে। শুনানিতে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী তাকে “ফ্যাসিস্টের দোসর” হিসেবে আখ্যা দেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন এবং ২২ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে মঙ্গলবারের শুনানিতে তার জামিন মঞ্জুর হয়।
তবে এখনো জামিনের আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছেনি, ফলে তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় সংঘটিত এক হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, জায়েদ খানসহ মোট ১৭ জন অভিনয়শিল্পীকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, তারা আন্দোলনের বিরোধিতা করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ নিয়েছেন এবং অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। মামলাটি গত ২৮ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানায় নথিভুক্ত হয়।