রাজধানীতে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়ছে শাক-সবজি, মাছ-মুরগি ও ডিমের দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে বেগুনের দাম একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
বর্তমানে প্রতি কেজি গোল বেগুন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। টমেটো ১৭০, করলা ৭০, ঢ্যাঁড়স ৬০, কাঁকরোল ৭০-৮০, পটল ৬০-৭০, ধুন্দল ৪০-৫০, কচুর মুখী ৬০, শসা ৫০-৭০ ও পেঁপে ২০-২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বরবটি ৮০-১০০, গাজর ৭০, চিচিঙ্গা ৮০, উচ্ছে ৭০ এবং পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুধু সবজিই নয়, মুরগি ও ডিমও চড়া দামে বিক্র হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩২০-৩৪০, সাদা কক ৩০০, লাল কক ২৮০-৩০০ এবং দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামও বাড়তি। বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৫০ টাকা, সাদা ডিম ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকলেও বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬০০, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। এছাড়া রুই ৩৮০-৪৫০, কাতল ৪৫০, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩০ এবং শিং-পাবদা ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অপরিবর্তিত। মিনিকেট চাল কেজি ৮২-৮৫, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ এবং মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোগান্তি বাড়াচ্ছে ডাল ও আটার দামও। খোলা আটা কেজি ৪৫-৫০ এবং প্যাকেট আটা ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডালের কেজি বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা, ভারতীয় মসুর বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০৫ টাকায়।
কাঁচা মরিচের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ভারতীয় কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ১২০ টাকা এবং দেশি মরিচ ১৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে; যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন গণমাধ্যমে জানান, পর্যাপ্ত সরবরাহ ও আমদানি থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার আশায় সিন্ডিকেট তৈরি করছে। অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মনিটরিং নেই।