বগুড়া শহরে হানি ট্র্যাপের ফাঁদে ফেলে দুইজন ব্যক্তিকে একটি ফ্ল্যাটে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের অভিযান চালিয়ে তাদের জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বগুড়ার আলোচিত যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মতিন সরকারের ভাইসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকার শহীদ বিলু সড়কের রহমান ভিলার পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা চেলোপাড়ার মহসিন কাজি সিজান (২৫), মতিন সরকারের ভাই ওমর সরকার (৩৫), কেয়া বেগম (৩৩), আফসানা মিমি (২৪), কামরুন্নাহার অধোরা (২২), এনামুল হোসেন ওরফে রায়হান (২৭) এবং নয়ন হোসেন (৩৫)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ৫ হাজার ১০০ টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মহসিন কাজি সিজানের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা আইন, চুরি ও মারামারিসহ ৬টি মামলা, এনামুল হোসেন রায়হানের বিরুদ্ধে অপহরণ, চুরি ও মারামারিসহ ৬টি মামলা, ওমর সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা, চুরি, মারামারি ও মাদকসহ ৬টি মামলা এবং নয়ন হোসেনের বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি ইকবাল বাহার জানান, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ফজলুর রহমান (৪৪) মাসখানেক আগে মেয়ের চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এলে কেয়া বেগমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে ফোন নম্বর বিনিময় হয়।
গতকাল সকালে কেয়া ফোনে ফজলুর রহমানকে তিনমাথা এলাকায় ডেকে নেন। সেখানে গিয়ে তিনি কেয়ার সঙ্গে চকসূত্রাপুরের ওই ফ্ল্যাটে যান। এসময় তার এক সহযোগীকেসহ তাকে সেখানে আটকে রাখা হয়।
এরপর ভুক্তভোগীদের মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি তাদের উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি।
পরে ভুক্তভোগীদের পরিবার বিষয়টি ডিবিকে জানালে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃতদের আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


