বগুড়ার শেরপুরে আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনমনে। গত শুক্র ও শনিবার পৃথক দুটি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন একজন অটোরিকশা চালক ও একজন ব্যবসায়ী। দুটি ঘটনাতেই ভুক্তভোগীরা শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং সর্বস্ব হারিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক মহাসড়কের শুভগাছা নামক স্থানে ছিনতাইয়ের শিকার হন দশশিকা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে, অটোরিকশা চালক মেহেদী হাসান (২০)।
শেরপুর রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন চাউল হাটি থেকে এক অজ্ঞাতনামা যাত্রী শুভলী যাওয়ার কথা বলে তার অটোরিকশায় ওঠেন। শুভগাছা গ্রামে পৌঁছালে মেহেদী মুত্রত্যাগ করার জন্য নামলে পেছন থেকে ওই যাত্রী লোহার রেঞ্চ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। মেহেদী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবারও আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত জখম করা হয় এবং অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে মেহেদীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর পিসি ভাটা এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে এনামুল হক তার নিজস্ব অটোভ্যানে করে শাহজাহানপুর থানাধীন নয়মাইল গ্রামে কেক পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শেরপুর থানাধীন গাড়ীদহ ইউনিয়নের দুগ্ধ ও গবাদি পশু উন্নয়ন খামারের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে তার ভ্যানের গতিরোধ করে।
এরপর একজন তার পেটে ধারালো চাকু ধরে এবং অন্য দুইজন তার পকেট থেকে ১৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যান্ডয়েড মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগে থাকা নগদ ২০ হাজার ৫৫০ টাকা ছিনতাই করে নেয়। ছিনতাইকারীরা এ বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যায়।
একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন বলেন, “ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়েছি। ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”