হবিগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে একদিনে ২ নারী ও ১ শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মরদেহগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন মোছা: আছিয়া খাতুন (৫০), ফুল জাহান বেগম (৬২) এবং আড়াই বছরের এক অজ্ঞাত শিশু।
হবিগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী খেলার মাঠে মোছা: আছিয়া খাতুনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি সদর থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, ভোরে হয়তো ওই নারীকে খুন করা হয়েছে। আছিয়া খাতুনের মরদেহের পাশে রক্ত ও তার গায়ে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। মৃত নারী আছিয়া খাতুন চানপুর গ্রামের মৃত মো: আব্দুল জব্বার মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহত নারীর ছেলে মো: আব্দুল মজিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের পাশে ১টি পুকুর থেকে ফুল জাহান বেগমের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী জিরুন্ডা গ্রামের মৃত মো: আলী আহমদের স্ত্রী।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: আবুল খায়ের জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
অপরদিকে, একই জেলার বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের পশ্চিম ব্রিজের নিচ থেকে আড়াই বছরের এক অজ্ঞাত কন্যা শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় এক কৃষক প্রথমে ওই শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে দেয়। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এখন পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: দোলোয়ার হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।