ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, “ভারত যতদিন টুকরা টুকরা না হবে, কেয়ামত পর্যন্ত তারা বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দিবে না।”
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় তিনি বলেন, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। “যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো বড় সমস্যা দেখা দেয় না। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সমস্যা শুরু হয়,” উল্লেখ করেন তিনি।
আমান আযমী আরও বলেন, “শেখ সাহেবের নেতৃত্বকালে সশস্ত্র ‘শান্তি বাহিনী’ তাদের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে তারা পাত্তা পায়নি। এরপর শেখ সাহেবের পতনের পর ভারত তাদের সমর্থন দিয়েছে, ক্যাম্প বানিয়েছে, আশ্রয়, খাদ্য, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা চলেছে।”
তথাকথিত শান্তি চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি করা হয়। কিন্তু এটি মূলত একটি আই-ওয়াশ। তখন শন্টু লার্মা কিছু অচল অস্ত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে চুক্তি নিশ্চিত করলেও ভিতরে তাদের সক্রিয় অস্ত্র রেখেছিল। ইউপিডিএফ তখন পুরোপুরি সুসংগঠিত ছিল এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে আবার সক্রিয় হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “৮০-৯০-এর দশকে যখন আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে যেতাম, তখন পুরো গ্রামটাই সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার আওতায় ছিল। কিন্তু এখন খাগড়াছড়ি শহরে এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, যেখানে সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রায় ২০০টি ক্যাম্প সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য সুবিধার পথ খুলে দিয়েছে।”


