জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রেক্ষিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এবং জুলাই অন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে দাবি করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারীরা ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ অংশে দুপুর পৌনে ৩টা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট সময় মহাসড়কে অবস্থান নেন এবং স্লোগান দেন। উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন গ্রুপের তরুণ-জনতা এবং আন্দোলনকারীরা। তারা ‘ঢাকায় হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘জুলাই যোদ্ধারা আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, দিতে হবে দিতে হবে’ সহ নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন; এছাড়া কিছু অংশে কটূক্তিমিশ্রিত স্লোগানও শোনা যায়। আন্দোলনকারীরা পুনরায় দাবি করেন—আহতদের সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ওমর ফারুক জানান, “জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের ওপর দিয়ে এ সরকার চেয়ারে বসেও আমাদের স্বীকৃতি মেলেনি। আইনি স্বীকৃতি ছাড়া পরবর্তী কোনো সরকার আসলে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যাবে। বাধ্য হয়ে আজ আবারও আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি।” নাজিম উদ্দীন বলেন, “অগণিত ভাইয়ের আত্মত্যাগের পরও পুলিশের হামলা মানতে পারছি না, আজ এ সরকারের পালিত পুলিশ বাহিনী আমাদের ভাইদের ওপর আবারও হামলা করেছে।”
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়; পরে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়ায় এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।


