বগুড়ার সদর উপজেলায় খতনার সময় ৮ বছরের এক শিশুর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বেদের (হাজাম) বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কালশিমাটি পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে আবু বক্কর বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাজাম আনিছার রহমান (৫০) এবং একই এলাকার মো: দুলু (৪৫) নামের এক ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, মামলা করার পর দুলু মোবাইল ফোনে আবু বক্করকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
শিশুটির বাবা আবু বক্কর প্রামাণিক গণ মাধ্যমে বলেন, ছেলে শাওন প্রামাণিককে (৮) মুসলমানি করানোর জন্য গতকাল সকালে আনিছার রহমান নামে এক হাজামকে বাড়িতে ডেকে আনেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খতনা করানোর সময় গোপনাঙ্গের সামনের চামড়া কেটে ফেলার সময় তিনি মাঝামাঝি কেটে ফেলেন। এতে শিশু প্রচুর শাওনের রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
ঘটনার পর আনিছার রহমান কাটা গোপনাঙ্গের অংশটি পকেটে তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় শাওনকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত হাজাম আনিছার রহমানের পরিবারের দাবি, তিনি বহু বছর ধরে এই কাজ করছেন। তার কখও এই ধরণের ভুল হতে পারে না। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি মিথ্যা। শিশু শাওনের গোপনাঙ্গ কেটে যায়নি। আবু বক্কর প্রামাণিক টাকা খাওয়ার জন্য এই মিথ্যা মামলা করেছেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির রোববার দুপুরে জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।