বগুড়ার শেরপুরে এক চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশ করে মারধর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ উঠেছে অপর এক চিকিৎসকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে পৌরসভার ধুনট মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত চিকিৎসক ডা. আ. ন. ম. গোলাম হামিম (৩৭) ধুনট মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং ন্যাশনাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী।
তিনি শজিমেক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. ইকবাল হোসেন সানি (৩৯) সহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ওই দিন দুপুরে ক্লিনিকে রোগী দেখার সময় ডা. ইকবাল হোসেন সানি ১৪–১৫ জন সহযোগীকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ক্লিনিকে প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে ডা. হামিমকে গালাগাল করে, পরে দরজা বন্ধ করে মারধর করেন। এতে তাঁর ডান হাতের কনুই ভেঙে যায় এবং বাম কানের পর্দা ফেটে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
চিৎকার শুনে ক্লিনিকের কর্মচারী ও স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরও মারধর করে আহত করে এবং ক্যাশ ড্রয়ার থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন ডা. হামিম।
তিনি বলেন, “আমি শেরপুরে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। এর জেরেই এই হামলা হয়েছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. ইকবাল হোসেন সানি বলেন,“হামিম আমার স্কুলের জুনিয়র। সে চিকিৎসকদের মেসেঞ্জার গ্রুপে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিল। আমি কেবল কথা বলতে সেখানে গিয়েছিলাম, হামলার অভিযোগ সত্য নয়।”
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


