বগুড়ার শেরপুরে দীর্ঘদিনের পেটের ব্যথার যন্ত্রণা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মোছা. আলেয়া খাতুন (৩৪) নামের এক গৃহবধূ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আশগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলেয়া খাতুন ওই গ্রামের মো. আমিনুর ইসলামের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলেয়া খাতুন শৈশব থেকেই দীর্ঘমেয়াদী পেটের পীড়ায় ভুগছিলেন। বিভিন্ন সময় চিকিৎসা করানো হলেও তিনি সুস্থ হননি। ব্যথার তীব্রতা সইতে না পেরে তিনি এর আগেও একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
নিহতের বড় ভাই মো. রাজু আহমেদ জানান, ঘটনার দিন সকালে আলেয়ার স্বামী বাড়ির পাশে স্কুল মাঠে ধান শুকানোর কাজে এবং সন্তানেরা বাড়ির বাইরে খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিল। এই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে নিজ শয়নকক্ষে তীরের সাথে লাইলনের রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন আলেয়া। পরে সকাল ১১টার দিকে নাজমা খাতুন নামের এক প্রতিবেশী তাকে ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে উঁকি দেন এবং ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ নিচে নামানো হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রাথমিক তদন্তে দীর্ঘদিনের অসুস্থতা ও পেটের তীব্র ব্যথা সহ্য করতে না পেরেই ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


