হাইকোর্টের সামনে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,“শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেও একজন শিক্ষক হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কষ্ট কেন বোঝেন না?”
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে হাইকোর্টের সামনে চলমান আন্দোলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের বর্তমান দাবি—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা—অত্যন্ত যৌক্তিক। রাশেদ খানের ভাষায়, “শিক্ষকরা দুর্নীতি করেন না, অন্যায় করেন না। কিন্তু আমলাদের অনেকে দুর্নীতি করে। তারা গাড়ি পায়, বাসা পায়। শিক্ষকরা কী পান? শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অবশ্যই বাড়াতে হবে।”
আন্দোলনকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি সরকার কেন মানছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। বলেন, “শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেও একজন শিক্ষক, তিনি কেন শিক্ষকদের কষ্ট বোঝেন না?”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকরা এখানে স্লোগান দিচ্ছেন—‘সি আর আবরার, আর নাই দরকার…’। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, তাঁর জন্যও লজ্জার।”
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, “শিক্ষকদের বলব, আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান। আপনাদের দাবি আদায়ে যদি সচিবালয়, যমুনা ঘেরাও করা লাগে, আমরাও থাকব। কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। গণ-অধিকার পরিষদ শিক্ষকদের সঙ্গে আছে।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবির দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণ-অধিকার পরিষদ।


