টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল। দেশটির বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেলের ব্যক্তিগত বাসভবনেও আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেকের মতে, চলমান এ বিক্ষোভ সরকারকে পতনের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালাচ্ছেন।
এ ছাড়াও নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড ও শের বাহাদুর দেউবা এবং জ্বালানিমন্ত্রী দীপক খাড়কার বাড়িতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
চলমান পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন। এ অবস্থায় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং কেউ কেউ সরকার থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, নেপালে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা নেপালের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নাগরিকদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছে।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “গতকাল থেকে আমরা নেপালের ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অনেক তরুণের প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
ভারত আরও বলেছে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে তারা আশা করছে, নেপালের সমস্যাগুলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।