খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা ও দাকোপ) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে কৃষ্ণ নন্দীর নাম।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় সমাবেশে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করে স্থানীয় নেতাদের বৈঠকে তা চূড়ান্ত করা হয়।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন বলেন, ১ ডিসেম্বর খুলনায় আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে দলীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন; পরে ৩ ডিসেম্বর স্থানীয় নেতাদের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত ধরে রাখা হয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার ছয়টি আসনের জন্য জামায়াত যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে খুলনা-১ ছাড়া বাকি পাঁচটি আসনের প্রার্থী অপরিবর্তিত ছিল। প্রায় দশ মাস পর খুলনা-১ আসনে একমাত্র প্রার্থী বদলে দল প্রথমবারের মতো এই আসনে হিন্দু প্রার্থী পাঠাচ্ছে—ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী।
কৃষ্ণ নন্দী ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন তিনি স্থানীয় হিন্দু কমিটির দায়িত্বে আছেন। নিজে সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমাকে জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ১ তারিখে আমিরে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন এবং বুধবার স্থানীয় বোর্ডে চূড়ান্ত হয়েছে। খুব শিগগির প্রচারণা শুরু করবো।”
আগে খুলনা-১ আসনের জন্য দল ভার্চুয়ালি একটি প্রার্থী ঘোষণা করেছিল; এখন সেই প্রার্থী বদলে কৃষ্ণ নন্দীর নাম ঘোষিত হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে সমর্থন ও আলোচনা চলছে। মাওলানা আবু ইউসুফ—যিনি আগের প্রার্থী ছিলেন—ও দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে বেশ কয়েক জায়গায় কৃষ্ণ নন্দীর পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন বলে জানান।
খুলনা-১ আসনে সর্বশেষ নির্বাচনীয় ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ৩,০৩,৫৪২ জন। নির্দিষ্ট সংখ্যক হিন্দু ভোটারের তথ্য সরকারীভাবে নেই; তবে একাধিক স্থানীয় সূত্র বলছে এই আসনে হিন্দু ভোটারের অনুপাত প্রায় ৪০–৪২ শতাংশের মধ্যে। এই গঠনই রাজনৈতিকভাবে হিন্দু প্রার্থীর প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে—দলের ভাষায় তাই শেষ পর্যন্ত হিন্দু প্রার্থী রাখা হয়েছে।
কৃষ্ণ নন্দী এর আগে পার্শ্ববর্তী খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে একাধিক সমাবেশে অংশ নিয়েছেন এবং ওই সময় নতুন প্রজন্ম ও ভোটাভুটার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। ৩১ অক্টোবর ডুমুরিয়ার স্বাধীনতা চত্বরের হিন্দু সমাবেশে তিনি সভাপতিত্ব করেন; সেখানে মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়া, গত ২১ অক্টোবর শাহপুরের আন্দুলিয়া ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত ছাত্র জনজমায়েতেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।


