ক্লাসরুমেই ছাত্রকে বিয়ে করে বসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। সবাইকে অবাক করে সিঁদুরদান, মালাবদল করলেন ছাত্র ও শিক্ষিকা। ঘটনাটি ভারতের নদিয়ার হরিণঘাটার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটির। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যর ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের পোডিয়ামে এসেছেন ছাত্র এবং শিক্ষিকা দু’জনেই। এসময় ছাত্র শিক্ষিকাকে সিঁদুরদান করেন এবং দু’জনেই মালাবদলও করেন। এমনকী একজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবেও মেনে নিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ভাইরাল ভিডিওটি ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছে। যদিও ওই শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, তিনি যে বিভাগের প্রধান, বিয়ের আসরটি সেটিরই এক প্রজেক্টের অংশবিশেষ।
ভরা ক্লাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে বিয়ে করলেন অধ্যাপিকা, তবে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষেই কনের সাজ সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধ্যাপিকা। তিনি আবার বিভাগীয় প্রধান। আর তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এই ঘটনা নিয়ে গোটা ক্লাসে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শোরগোল পড়ে গেছে। এই ঘটনার প্রমাণ হিসাবে কেউ কেউ বিয়ের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভারতীয় সংবামাধ্যম বলছে, এরই মধ্যে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের মধ্যেই বিয়ের আসরটি বসে। মালাবদল থেকে শুরু করে সিঁদুরদান সবই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে বিয়ের আসকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, প্রথম বর্ষের সেই পড়ুয়ারও সেই ছাত্রেরও খোঁজ মিলছে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্লাসরুমে তার ওই আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে তার কাছে। মৌখিক ভাবে বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন, একটি প্রজেক্টের জন্য ক্লাসরুমে অভিনয় করেছিলেন তিতি। তবে মালাবদল, সিঁদুরদান প্রজেক্টের অংশ হলে এবং পুরো বিষয়টি যদি অভিনয় হলে ওই বিভাগীয় প্রধানকে কেন ছুটিতে পাঠানো হলো, সেই ব্যাপারে কেনও ব্যাখ্যা দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।