রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হাইকোর্ট থেকে পাওয়া জামিন আদেশে ‘বাধা’ দিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। জামিনের আদেশ স্থগিত করে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানানো হয়—চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চিন্ময়ের মুক্তি যেন কার্যকর না করা হয়।
এর আগে দুপুরে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান ও বিচারপতি মো. আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন। কিন্তু বিকেলেই রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে জামিন স্থগিতের আবেদন করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা গৃহীত হয়।
২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এক মহাসমাবেশের পর জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে। ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়সহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২২ নভেম্বর রংপুরে আরও একটি সমাবেশে নেতৃত্ব দেন তিনি।
মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় ২৫ নভেম্বর ঢাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে তার অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই দিনই আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ আদালত ভবনের বাইরে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এরপর থেকেই চিন্ময় কারাগারে আছেন।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে। পরে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি।
চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশের ফলে এখন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পরবর্তী শুনানির অপেক্ষায় আছেন চিন্ময়ের আইনজীবীরা।