বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কদিমুকুন্দ মৌজার বাগমারা গ্রামের হাটদীঘি পুকুরপাড়ে বসবাসরত ভূমিহীন পরিবারের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও উচ্ছেদচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করে পুকুরপাড়ের শতাধিক ভুক্তভোগী বাসিন্দা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ কোব্বাদ হোসেন, দুলাল হোসেন, ঈসা মণ্ডল, খুশি বেগম, কোহিনুর বেওয়া, আব্দুল সাত্তার ও নাসির হোসেনসহ অনেকে। তারা বলেন, গত ৩৭ বছর ধরে এই পুকুরপাড়ে তারা ভূমিহীন হিসেবে বসবাস করে আসছেন।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি সুভাষ চন্দ্র মাহাতো ও তার সহযোগীরা ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে পুলিশের সহায়তায় হাটদীঘি পুকুরপাড়ের ভূমিহীন পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। গত তিন মাস ধরে তারা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা সরকারের কাছে নিরাপত্তা ও স্থায়ীভাবে বসবাসের নিশ্চয়তা দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভূমিহীন পরিবারের নিরাপদ বসবাস, পুকুরে মাছ চাষের জন্য নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ ও শিশু-কিশোরদের স্কুল–কলেজে যাতায়াতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সুভাষ চন্দ্র মাহাতো বলেন, “এই পুকুর ও পাড় আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। লিজ নিতে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষ চাঁদা দাবি করছে। আমি রাজি না হলে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় পুকুর দখলের চেষ্টা করছে। আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমরা বাসিন্দাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করিনি।”
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, উচ্চ আদালত পুকুরটির মালিকানা নিয়ে মামলার রায় সুভাষ চন্দ্র মাহাতোর পক্ষে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সরকারের আপিল মামলা চলমান আছে। ওই এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।