বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে সহকারী শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বর্জন করেছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে, এতে স্থবির হয়ে পড়ে শিক্ষার কার্যক্রম।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে মোট ১০ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। বুধবার সকাল থেকেই তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ না করে শিক্ষক কক্ষে অবস্থান নেন। ফলে কোনো শ্রেণিতে পাঠদান অনুষ্ঠিত হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীরা হৈচৈ ও লাফালাফিতে ব্যস্ত। কেউ কেউ ডেস্কে দাঁড়িয়ে খেলা করছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, “আজ স্যার-ম্যাডামরা টিফিনের পরে ক্লাসে আসেননি, কেউ পড়াচ্ছেন না।”
সহকারী শিক্ষক সন্ধ্যা রানী দত্ত ও রবিউল আহসান, সেলিনা সুলতানাসহ পাঁচজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। তাঁরা বলেন, “আমরা বারবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো প্রধান শিক্ষক আমাদের নানা উপায়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন।”
শিক্ষকেরা আরও জানান, বিদ্যালয়ের ‘সততা স্টোর’, বিভিন্ন উৎসব ও অনুদানের অর্থের হিসাব প্রধান শিক্ষক কাউকে দেন না। বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থও কেবল কাগজে-কলমে ব্যয় দেখানো হয়। এসব অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়েই তাঁরা আজ পাঠদান বর্জন করেছেন।
বুধবার সকালে প্রধান শিক্ষক হাজিরা খাতা নিজের কাছে রেখে দেওয়ায় কেউ হাজিরা দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষকদের পাঠদান বর্জনের বিষয়টি জেনেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।”
বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


