অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া পদত্যাগ করেছেন। বুধবার বিকেল (১০ ডিসেম্বর) ৫টার দিকে তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাদের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
তাদের পদত্যাগ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সন্ধ্যার ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা দুই উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা জাতিকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পথে যে অবদান রেখেছ, তা জাতি মনে রাখবে। ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
আসিফ ও মাহফেুজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এত অল্প সময়ে তোমরা জাতির জন্য যা করেছ, তা ভুলে যাওয়ার নয়। এটি কেবল একটি রূপান্তর, আগামী দিনে তোমরা আরও বড় পরিসরে দেশের জন্য কাজ করবে।”
জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্য থেকেই উপদেষ্টা ছিলেন মাহফুজ ও আসিফ।
মাহফুজ আলম গত বছর ২৮ আগস্ট বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান এবং ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। ছাত্র প্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম পদত্যাগের পর তাকে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, আসিফ মাহমুদ শুরুতে শ্রম ও যুব–ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। পরে গত নভেম্বরে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে মোট ২৩ সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে তিনজন ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি।
উল্লেখ্য, প্রথমে নাহিদ ইসলাম (২৫ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করেন। আজ মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করায় উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্পূর্ণ প্রস্থান ঘটল।


