বগুড়ার শেরপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
ঘটনাটি ঘিরে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বিদ্যালয়ের ওয়াইফাই লাইন পাসওয়ার্ড দেওয়া–নেওয়া নিয়ে সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী ও মাহমুদুল হাসান শিমুলের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে মাহমুদুল হাসানের পক্ষের কিছু বহিরাগত ব্যক্তি বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে সাহেব আলীকে মারধর করেন। এতে উভয় শিক্ষকসহ কয়েকজন কর্মচারী আহত হন।
ঘটনার পর বিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সোমবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল মাত্র ৯৪ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার পরদিন সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জড়িত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবু সাঈদ শেখ বলেন, “সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তাঁরা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেবেন।”
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, “ঘটনার পর বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে আহত শিক্ষক সাহেব আলী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, “সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, “দুই শিক্ষককে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”