দেশের খুচরা বাজারে আবারও বাড়ছে পিয়াজের দাম। দুই দিনের মধ্যে প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত লাফিয়ে বেড়েছে এই পণ্যের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দিন যেখানে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১১৫–১২০ টাকায়, সেখানে গতকাল দাম দাঁড়িয়েছে ১৪৫–১৫০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন এলাকা থেকে সরবরাহ কমায় পাইকারি বাজারেই প্রথমে দর বাড়তে শুরু করে। সেই প্রভাব দ্রুতই খুচরা বাজারেও এসে পড়েছে। অন্যদিকে হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর মহাখালী, মিরপুর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, পিয়াজের বাজার গত এক মাস ধরেই ওঠানামার মধ্যে রয়েছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে দামে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। তখন কেজি পিয়াজের দাম উঠে যায় ১১৫–১২০ টাকায়। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দাম কিছুটা কমে ১০৫–১১০ টাকায় নেমেছিল। তবে গত ৪–৫ দিন ধরে আবারও দাম বাড়তে শুরু করেছে।
টিসিবির হিসাবে, এখনকার দাম গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। তবে বাজারে আসা ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন—দাম বাড়ার গতি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
কারওয়ান বাজারে পিয়াজ কিনতে আসা রফিকুল বলেন, “৩–৪ দিন আগেও ১১০ টাকায় কিনেছি। আজ দোকানদার ১৫০ টাকা চাইছেন। বাজার তদারকি না থাকায় যারা সুযোগ পাচ্ছেন, তারা দাম বাড়াচ্ছেন।”
পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া জানান, ঢাকায় পিয়াজ আসে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও পাবনা থেকে। এসব এলাকার প্রতিমণে দুই দিনের ব্যবধানে দাম এক লাফে বেড়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। সে কারণেই খুচরা বাজারে কেজি দরে পরিবর্তন এসেছে।
গত সপ্তাহে কৃষি উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, দেশে পিয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং নতুন পিয়াজ দ্রুতই বাজারে আাসবে। কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় তাই আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মজুতদাররা বেশি দামে পণ্য ছাড়ছেন।


