বগুড়ায় আলী হাসান হত্যা মামলায় কথিত বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মো: সবুজ সওদাগরকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) রাতে সদর উপজেলার বেলাইলের হরিগাড়ী এলাকার হাজীর মিল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জনা গেছে, সবুজ তার বন্ধু মো: আলী হাসানের স্ত্রী মিতু বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয় এবং অতপর হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়।
আটককৃত সবুজ ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ’ নামে কথিত একটি সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ও সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়নের শহরদিঘী গ্রামের মৃত মো: সিরাজ সওদাগড়ের ছেলে। তার নামে ২টি হত্যাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। অপরদিকে নিহত আলী হাসানও ১টি হত্যাসহ ৬টি মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে বগুড়া সদরের শহরদীঘি গ্রামে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে বন্ধু আলী হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সবুজ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো: আলী জিন্না বাদী হয়ে সবুজ সওদাগরসহ সবুজের মা সিল্কী বেগম, ভাই মো: সম্রাট সওদাগর ও স্ত্রী লিপি বেগমেকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের দেয়া তথ্যে আরো জানা গেছে, আলী হাসান ও সবুজ দুজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। তারা নিয়মিত একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ১ বছর আগে আলী হাসান জেলহাজতে গেলে তার স্ত্রী মিতুর সাথে সবুজের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আলী হাসান জেল থেকে জামিনে বের হয়ে বিষয়টি জানতে পারে এবং তাদের ২ জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে ২ জনের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা হলে ফের আগের মতো তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হয়।
তবে গত মঙ্গলবার আলী হাসান সবুজের বাড়িতে পূর্বের ন্যায় আসার পর তাদের ২ জনের মধ্যে কোন একটা বিষয় নিয়ে আবারো বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে আলী হাসানকে ছুরিকাঘাত করে সবুজ। পরে আলী হাসানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়ায় আলী হাসান হত্যার ঘটনায় সৈনিক লীগ সভাপতিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরাফত ইসলাম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় সবুজকে আটক করা হয়। অন্যান্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এই হত্যাকান্ডের পেছনে মাদকসহ অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তাও জানা যাবে।