ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল আসায় গ্রাহকরা চড়ম বিপদে পড়েছেন। মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি বিলের কাগজে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সকালে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলের প্রতিবাদ জানানোর জন্য ডাসার পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিভিন্ন এলাকার শতাধিক গ্রাহক এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। গ্রাহকরা জানিয়েছে, মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম বরাবর তারা লিখিত অভিযোগ দেবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল ঠিক থাকলেও এপ্রিল মাসের বিল তৈরিতে গাফিলতি করা হয়। গ্রাহদের বিলের কাগজে অস্বাভাবিক বিল তৈরি করে পৌঁছে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে ক্ষুব্ধ হন সাধারণ গ্রাহকরা।
এরপর ডাসারের পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা। এ সময় গ্রাহকরা তাদের বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিকতার কারণ সম্পর্কে জানতে চান। গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়ে পালিয়ে যায় সংযোগ প্রকৌশলী সুফল কুমার পাল। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডাসার এলাকার মো: মোতালেব কাজী নামের ভ্যানচালক জানান, তার বাড়ির মিটারে গত মার্চ মাসের বিল এসেছিলো ১ হাজার ৩১৪ টাকা। এপ্রিল মাসের বিল এসেছে তিনগুণেরও বেশি, ৪ হাজার ২৯৩ টাকা। ২ হাজার ৯৭৯ টাকা অতিরিক্ত যোগ করে বিল ইস্যু করে পাঠিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
উপজেলার ধামুসা গ্রামের মো: রাজ্জাক ঢালী নামের আরেকজন গ্রাহক জানান, তার মার্চ মাসের বিল এসেছিলো মাত্র ৫৪৫ টাকা। আর এপ্রিল মাসের বিল এসেছে ২ হাজার ২৭১ টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। সাধারণ গ্রাহকরা বিদ্যুতের এই ভূতুড়ে বিলের সমাধান চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো: জোনাব আলী জানান, ডাসারের সংশ্লিষ্ট অফিস বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে। তারাই সকল বিল আদায় করে। তাদেরকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান অস্বাভাবিক বিলের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই।