পুলিশের সামনে কেউ অস্ত্র বের করলেই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে ওয়্যারলেস বার্তায় মহানগর পুলিশের সকল সদস্যকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে নগরীর ঈশান মিস্ত্রি হাট এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিলে ধাওয়া দিতে গিয়ে বন্দর থানার এসআই আবু সাঈদ রানা হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর পরই সিএমপি কমিশনার নগর পুলিশ সদস্যদের এই নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, “বন্দরে আমার এক এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেক ইঞ্চি এদিক-সেদিক হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। বন্দর থানার এসআই যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে কেউ পড়লে, কোনো অবস্থাতেই প্রজেক্টাইল লাশ ছাড়া কেউ ফিরে আসবে না।”
ওয়্যারলেস বার্তায় সিএমপি কমিশনার হাসিব বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের প্রাধিকার অনুযায়ী অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি ও ডিবির টিমগুলোকে ডিউটিতে যেতে হবে। শুধু রাবার বুলেটে কাজ না হওয়ায়, আগ্নেয়াস্ত্র বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ পুলিশের কোনো টহল দলের সামনে কেউ অস্ত্র বের করলেই গুলি করা হবে। সেটা আগ্নেয়াস্ত্র হোক বা ধারালো অস্ত্র, অস্ত্র বের করার মুহূর্তেই গুলি করবে। মাথা, বুক বা পিঠ, যেখানে প্রয়োগে সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পাওয়া যায়, সেখানে গুলি করতে হবে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”
সিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের অনেক সদস্য হামলার মুখেও অস্ত্র ব্যবহার করতে চান না, কারণ গুলিতে মৃত্যু হলে আইনি জটিলতার মুখে পড়তে হয়। তিনি স্পষ্ট করে জানান, দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে গুলি চালাতে হবে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহমুদা বেগম জানান, কমিশনার স্যার প্রাধিকার অনুযায়ী পুলিশকে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, আহত এসআই আবু সাঈদ রানা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।