বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৫ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে ২টি মামলা জন্মদিন পালন ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তি করার অভিযোগে করা। বাকি ৩টি মানহানির অভিযোগে করা।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল বেলা সিএমএম আদালতের বিচারক মো: মাহবুব আলম ও মো: তোফাজ্জল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেছেন।
ভুয়া জন্মদিন পালনসহ মানহানির ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মো: মাসুদ আহমেদ তালুকদার। মামলা খালাসের রায় ঘোষণার পর মাসুদ আহমেদ তালুকদার নিজেই গণমাধ্যমকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জানান, ৪ বছর আগে মামলার বাদী মৃত্যুবরণ করার কারণে বেগম খালেদা জিয়া খালাস পেয়েছেন। এছাড়া সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই বছরের অক্টোবর মাসে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় দশ বছর।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরো ৭ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। তিনি তখনো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। এছাড়া বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে মানহানিসহ আরো অনেকগুলো মামলা হয়।