বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে অংশ না নেয়ায় মারপিট করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাড়িতে হামলায় আব্দুল লতিফের ছেলে, ছেলের বৌ ও ছেলের ভায়রা আহত হন। আহত সামিউল ইসলাম, আখি খাতুন ও চাঁনমিয়া শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। ঘটনার রাতেই ওই এলাকার মৃত জসমত মন্ডলের ছেলে আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের আমন্ত্রনে প্রগ্রামে অংশ না নেয়ায় এই হামলা করা হয়েছে। আব্দুল লতিফের ছেলে সামিউল ইসলাম ঘটনার রাতে শহর থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন তার উপর হামলা করে। এ সময় সামিউল ইসলাম স্বধীন তার বাড়ির দিকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে বিএনপি’র নেতা কর্মীরা বাড়ির উপর ধাওয়া করে মারপিট, আসবাবপত্র, অটোরিক্সা ভাংচুর করে স্বর্ণের গহনা, নগদঅর্থ লুটপাট করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে প্রায় সারে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধনের কথা উল্লেখ করা হয়। এর পরে আব্দুল লতিফ ১২ জনকে আসামী করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন।
তবে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম সহ অন্যান্য বিবাদীদের বক্তব্য, নেশাগ্রস্থ অবস্থায় স্বাধীন তাদেরকে গালিগালাজ করে বাড়ির দিকে চলে যায়। এসময় তার পেছন পেছন বাড়িতে গেলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে। তবে ভাংচুর, লুটপাটের বিষয়ে অস্বীকার করেন তারা।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর শেরপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি আলাদা আলাদা আয়োজন করে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রæপ ও পৌর বিএনপির ব্যানারে শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ জানে আলম খোকার নেতৃত্বাধীন গ্রæপ। এতে উভয় গ্রæপে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন-গ্রাম থেকে কর্মী সমর্থক সংগ্রহ করা হয়।