বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পূর্বের নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার প্রত্যাহার চেয়ে এক দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা সোমবার (১৩ মে) শেরপুর থানায় নতুন একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী আতিয়া খাতুন (১৮), শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া কলোনী এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলার আসামিরা হলেন, মাহমুদুল হাসান সাব্বির (২১), রিক্তা বেগম (৪৫), রনি (২৫), রাকিব (১৮), আকাশ (১৮), স্বপ্না (৩৫), শামিম (৪০), জরিনা বেগম (৬০) এবং আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আতিয়ার মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রধান আসামি সাব্বিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যার চার্জশিট ইতোমধ্যে আদালতে জমা পড়েছে। তবে জামিনে মুক্ত হয়ে অভিযুক্তরা মামলা তুলে নিতে আতিয়ার পরিবারকে হুমকি ও চাপ দিয়ে আসছিল।
১১ মে (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার সময় মহিপুর ঢালাই ব্রিজের কাছে আতিয়াকে অপহরণ করে একটি অটোরিকশায় তুলে নেওয়া হয়। এরপর অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে মুখ বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। তার মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও স্কুলব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
পরে আতিয়াকে একটি অজানা মাইক্রোবাসে তুলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিতে গেলে সে রাজি না হওয়ায় ছুরি দেখিয়ে হুমকি ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
অবশেষে ‘কি নাম প্লাস’ নামক এক হোটেলের সামনে মাইক্রোবাস থামলে আতিয়া চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। তখন অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।